• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলায় প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ০৯:২৭ এএম
ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলায় প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগে সোহরাব আলী খান নামের এক প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) মোহনপুর উপজেলার ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সোহরাব আলী খান ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার বাড়ি উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের মৌপাড়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল থেকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়টি ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা থেকে পুলিশ যায়। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস সেখানে যান। এলাকাবাসী তার কাছে এই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে তার উপস্থিতিতে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়নি।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কথা বলা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক পুলিশের হেফাজতেই আছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকেরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা হলে সে অনুযায়ী তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “গ্রামের সব মানুষ একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়টি ঘেরাও করেছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। পুলিশ সবাইকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক কিশোর পড়ে গিয়ে আহত হয়। এতে এলাকার লোকজন আরও উত্তেজিত হয়। পরে আমি গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। এরপর এসিল্যান্ড আসেন। এলাকার লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।”

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “এই শিক্ষকের নাকি একটু সমস্যা আছে। অভিভাবকদের অভিযোগ যে তিনি ছাত্রীদের অশ্লীল-আপত্তিকর কথা বলেন। গ্রামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনার পর সবাই একত্রিত হয়ে আজ বিদ্যালয় ঘেরাও করেন। প্রধান শিক্ষককে থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগীরাও সেখানে গিয়েছেন।”

মোহনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, ওই বিদ্যালয়ে অনেক অভিভাবক উপস্থিত হয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও গিয়েছিলেন। 

Link copied!