সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, কেউ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেনি। আজকে যারা নির্বাচনের ধুয়ো তোলে, তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রেলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমরা ডুয়েল গেজ ও ব্রড গেজ এই ধরনের রেললাইন আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে করে আমাদের রেল গতিশীল হয়, যাতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে আরও সক্ষমতা অর্জন করে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “ভবিষ্যতে আরও ৪৬টি নতুন ব্রড গেজ, লোকোমোটিভ ৪৬০টি, নতুন ব্রড গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ২০০টি, মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ১ হাজার ৩১০টি সংগ্রহেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করি, তিন-চার বছরের মধ্যে সারা বাংলাদেশে রেলের যোগাযোগ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আজ যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হলো, আসলে এই রেল লাইন ভাঙ্গা পর্যন্ত এখন আমরা করেছি। ভাঙ্গা থেকে যশোরে সংযোগ হবে। আর যশোর থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত সংযোগ হচ্ছে, সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প আমাদের মাথায় আছে, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী হয়ে পায়রা পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমাদের লক্ষ্য ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা।”