• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার মহাখালী থেকে ইমন পরিবহনের একটি বাস ৩০ জন যাত্রী নিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে বাইপাইল কাউন্টার থেকে আরও কয়েকজন ওই বাসে ওঠেন। ওই যাত্রীদের মধ্যে সাত–আটজন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। বাসটি ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা চালককে মারধর করে দেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তারা চলন্ত বাসে যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেন। এ সময় কয়েক যাত্রী বাধা দিতে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের আঘাত করেন। পরে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া পেট্রলপাম্পের কাছে বাস থামিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনার পর ওই বাসের যাত্রী আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা করেন। ডাকাতির ঘটনার পর থেকে মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল তদন্তে নামে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকাল সাতটার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে প্রথমে রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

পরে রতনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়ালসড়ক এলাকা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ বেলা একটার দিকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা ৮ জন ডাকাতিতে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন। তাদের বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

Link copied!