• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রেমের টানে ফিলিপাইনের নারী জয়পুরহাটে


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৯:৩৮ পিএম
প্রেমের টানে ফিলিপাইনের নারী জয়পুরহাটে

প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ফিলিপাইন থেকে জয়পুরহাটে চলে এসেছেন মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭) নামের এক নারী। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের (৩৭) ভাড়া বাসা ক্ষেতলাল পৌর মহল্লার সদর এলাকায় চলে আসেন তিনি। ফিলিপাইনের নারী ক্ষেতলালে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শারফুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে আমানের ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর বিয়ের উদ্দেশে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মারিয়া শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। এরপর রোববার সকালে আমানের জয়পুরহাটের বাড়ি আসেন তিনি। দুপুরে জোহরের নামাজের পর তারা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় ওই নারী নতুন নাম রাখা হয় মরিয়ম আমান।

এ বিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, “আমাদের দুজনের মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে খ্রিস্টান ছিল কিন্তু গত তিন বছর আগে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকরি করত সেখান থেকে ভালোবাসার টানে আমাকে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে।”

আনা মারিয়া ভেলাস্কো ওরফে মরিয়ম বলেন, “আমি নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমানকে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।”

প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, “আমান আমার ছাত্র ছিল। আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে দিয়েছি।”

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে।

Link copied!