• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মহেশপুরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
মহেশপুরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা
জমজমাট মহেশপুরের ফুলের বাজার। ছবি : প্রতিনিধি

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জমজমাট ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফুলের বাজার। এ বছর এই দুই দিবসকে ঘিরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন চাষিরা।

এলাকাবাসী ও মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে জারবেরা, গ্লাডিওয়ালা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা ও গাঁদা ফুল উল্লেখযোগ্য।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারই বেশি ফুল চাষ হয়েছে। এক সময় শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল মহেশপুর। ধান ও গম ছাড়া তেমন কোনো ফসল উৎপাদন হতো না এই অঞ্চলে। তখন উৎপাদনের ৭০ ভাগ শস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের সবজি, পেয়ারা, পেঁয়াজ-রসুন, কলা, কমলা, মাল্টা লেবু ও কুল চাষ হচ্ছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য হারে শুরু হয়েছে ফুলচাষ।

এ বছর জেলার অর্ধেকের বেশি পরিমাণ ফুল চাষ হয়েছে মহেশপুরে। এবার দাম বেশি পেলে আগামী বছর ফুলচাষ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন মহেশপুর কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে প্রায় সব জায়গাতে ফুল চাষ হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জমজমাট ফুলের বেচা-বিক্রি। এর মধ্যে জারবেরা, গোলাপ ও রজনীগন্ধার চাহিদা বেশি। গাঁদা ফুলের ঝোঁকা বা মালা তৈরি করে তা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। ঝোঁকা বা মালা তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন গ্রামের নারী ও শিশুরা।

শ্যামকুড় ইউনিয়নের চাপা তলা গ্রামের ফুলচাষি নাজমুল ইসলাম জানান, তারা গত কয়েক বছর ধরে ফুল চাষ করে আসছেন। ফুল চাষ করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

বোয়ালিয়া গ্রামের ফুলচাষি হারুন অর রশিদ জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করেছেন। এখান থেকে ভালো লাভ পাওয়ার আশা করছেন তিনি।  

এ উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৪৯ হাজার ২১০ দশমিক ২০ হেক্টর। মোট ফসলি জমি রয়েছে ৪০ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এর মধ্যে ফুল চাষ হয়েছে ১৩৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর ছিল একশ হেক্টরের নিচে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ফুলের চাহিদা ও দাম বেশি পাওয়ায় চাষিরা ফুল চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে জারবেরা ফুল ১৫-২০ টাকা, গ্লাডিওয়ালা ১০-১৮ টাকা, গোলাপ ১০-১৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, একবিঘা জমিতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা। বর্তমানে মহেশপুরের ফুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হচ্ছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কেনার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে মহেশপুরের চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পাইকারি ক্রেতারা। 

Link copied!