• ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাশ, মৌখিকে পরীক্ষার্থী ধরা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৯:৫৯ পিএম
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাশ, মৌখিকে পরীক্ষার্থী ধরা

পঞ্চগড়ে চাকরির পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাশ করে ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) দিতে গিয়ে নিয়োগ বোর্ডের কাছে ধরা পড়েছেন দুই নারী পরীক্ষার্থী। একই সময় জালিয়াতির অভিযোগে আরও দুইজনকে আটক করা হয়। পঞ্চগড় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য সচিব বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করে নিয়োগ বোর্ড। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

আটকরা হলেন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর তেলিপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে পরীক্ষার্থী ইয়াসমিন (২১), একই উপজেলার মির্জাপুর নলপুকুরি গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে পরীক্ষার্থী মৌসুমি আক্তার (২৮),  মির্জাপুর তেলিপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সাইদুর রহমান (২৪), ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড়বাড়ি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আসামি ইয়াসমিনের স্বামী এএসআর মাসুদ রয়েল (২৮)। এদিকে পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকার দুলালসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও এজাহারে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষায় আসামি ইয়াসমিন এবং মৌসুমি পঞ্চগড় সরকারি গার্লস স্কুলে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রক্সির মাধ্যমে অন্যরা অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন তারা। গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন ইয়াসমিন ও মৌসুমি। এ সময় তাদের পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে এলোমেলো অসংলগ্ন উত্তর দেন। নিয়োগ বোর্ডের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হলে তাদের লিখিত পরীক্ষার দিনের উত্তরপত্রের অনুরূপে সাদা পৃষ্ঠায় লিখতে দেয়। এ সময় লিখিত পরীক্ষার লেখার সঙ্গে ভাইভায় দেওয়া লেখার কোনো মিল না থাকায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে কৌশলে বোর্ড প্রক্সির বিষয়টি এবং অপর আসামিদের সম্পর্কে জানতে পারে। অপর দুইজনকে মৌখিক পরীক্ষায় কৌশলে ডাকা হলে সত্যতা পেয়ে পুলিশের হেফাজতে চারজনকে তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইয়াসমিন শিকার করেন তার ভাই সাইদুর এবং স্বামী রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার বিষয়ে সহায়তা করেন। এদিকে সাইদুর ও রয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান পঞ্চগড় সদর থানার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দুলাল নামে পলাতক অপর ব্যক্তি ইয়াসমিনকে প্রক্সির মাধ্যমে পাশ করে চাকরি নিয়ে দিবেন বলে ১২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। এদিকে সাইদুর, রয়েল ও দুলাল টাকার বিনিময়ে মৌসুমিকেও প্রক্সির মাধ্যমে চাকুরি দেওয়ার চুক্তি করেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Link copied!