• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

গারো পাহাড়ে লটকনের বাম্পার ফলন


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ১০:৪৪ এএম
গারো পাহাড়ে লটকনের বাম্পার ফলন

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় ঘেরা তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লটকন ফলের বাগানে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগানমালিকরা বলছেন, প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় এসেছে লটকন। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে কাণ্ড ও ডালে ঝুলে আছে লটকন।

শ্রীবরদীর কালাকুমা গ্রামের কৃষক হাসান মিয়া বলেন, স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলোতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মিষ্টি ও রসালো ফল লটকনের। পাশাপাশি খরচ কম ও অল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে এই ফল চাষের আগ্রহ।

বাগানমালিক মোতালেব মিয়া বলেন, প্রতিটি লটকনের বাগান বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

ঝিনাইগাতীর বাউসা গ্রামের লটকনচাষি হামিদুল্লাহ জানান, তিনি ২০০৭ সালে নরসিংদীর ওজিলাব গ্রাম থেকে ১২০টি চারা নিয়ে আসেন। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ৩৫টি গাছে ফল আসা শুরু করে। তারপর ২০১৬ সাল থেকে সব গাছেই ফল এলে পাইকারদের কাছে বিক্রি শুরু করেন। এ বছর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বাগান বিক্রি করেন তিনি।

হামিদুল্লাহ আরও বলেন, তার বাড়ির পেছনে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে গাছগুলো রোপণ করেন। এ গ্রামে এখন ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি বাগান রয়েছে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার কয়েকজন চাষি এবার লটকনের বাগান করেছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিবানী রাণী নাথ বলেন, গারো পাহাড়ের মাটিতে লটকন চাষের প্রায় সব গুণাগুণ রয়েছে। তাই এসব পাহাড়ি গ্রামে লটকনের আবাদ ভালো হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, দেশে বর্ষা মৌসুমের অন্যতম ফল লটকন। লটকনগাছে শীতের শেষে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেবর মাসে লটকন পাকে।

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, যেকোনো ফলের চেয়ে লটকন চাষ লাভজনক। এর স্বাদ টক-মিষ্টি। এখন ফলটি বাজারে বেশ দেখা যাচ্ছে এবং দামও চড়া। চাষাবাদে কম খরচ, কম পরিচর্যা ও লাভজনক হওয়ায় গারো পাহাড়ে লটকনের আবাদ বেড়েই চলছে। কৃষি বিভাগ সব সময় চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।

Link copied!