ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) র্যাঙ্কিংয়ে পারফরম্যান্স রিপোর্টে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজকে পেছনে ফেলে শ্রেষ্ঠ হয়েছে এ কলেজটি।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ। কলেজটিতে বর্তমানে ৩২তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছেন। কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১১ জন। এর মধ্যে ১৬ জন বিদেশি শিক্ষার্থী।
২০২২-২৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) র্যাঙ্কিংয়ে বছর শেষে মূল্যায়নে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান লাভ করে। এ ছাড়া এ বছর সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মেডিকেল শিক্ষকদের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে এই কলেজের অধ্যাপক ডা. দিলরুবা জেবা ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল কাদের। ১৭ জন ছাত্রছাত্রী তৃতীয় পেশাগত পরীক্ষায় এবার সেরা ফল অর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষকরা জানান, রোববার (১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) র্যাঙ্কিংয়ে মূল্যায়নে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান লাভ করে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এপিএ মূলত সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক। এপিএতে এবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের সবাই অংশ নেবে। আবারও প্রথম স্থান ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।