ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকার অটোরিকশা চালক রিফাত ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)। এ ঘটনায় ঘটনায় মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ৬ ও ৭ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন পঞ্চগড় সদর থানার জিয়াবাড়ি সদ্দারপাড়া গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম (১৬), ভুতমারী গ্রামের মো. কামরুল হাসান (২৪), আটোয়ারী ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের এরাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন (৬২) তার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), মো. আলমগীর হোসেন (২৫), একই উপজেলার দেলুয়াড়ার খৌর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন (৩৫) এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিমহেষপুর গ্রামের অতুল বর্ম্মণ (৩২)।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আসামি রবিউল ও কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ৬০০ টাকার চুক্তিতে রিফাতের অটোরিকশা ভাড়া করেন তারা। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে আরও কিছুক্ষণ ঘোরার শর্তে ৪০০ টাকা বাড়িয়ে দেবেন বলে জানান রিফাতকে। রাত ৯টার দিকে মন্ডলাদামগামী একটি কাঁচা রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে পেছন থেকে রিফাতের গলায় ছুরি চালিয়ে রিফাতকে হত্যা করেন কামরুল। পরে ওই অটোরিকশা এরাজ উদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে রবিউল, কামরুল হাসান, অতুল বর্ম্মণ ও নাছির উদ্দিনসহ আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে রিফাতের মোবাইল, অটোরিকশার চার্জার, ডিফেন্সিয়াল মোটর, হেডলাইট, হ্যান্ডেল মিটার, সকাপজা সেট ও বসার সিট উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর রুহিয়ার ঘুরনগাছ এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে রিকশাচালক রিফাতুল ইসলামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই।