কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নষ্ট হতে চলেছে ১০০ হেক্টর জমির ফসল। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার আরও অন্তত ৩২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির ফসল। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি উঠেছে। যার কারণে কাঁচা মরিচ, বেগুন, কলা, পটল, করলা, ঢেড়শ ও শীতের আগাম সবজির ক্ষেতে ইতোমধ্যে পচন ধরেছে। এতে ফলন বিপর্যয়সহ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া জমিতে পানি জমে ধাকার কারণে সামনের শীতকালীন ফসল উৎপাদনের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক ইস্তুল আলী বলেন, “আমি এক বিঘা জমিতে বেগুনের চারা রোপন করেছি দিন পনের হলো, এখন জমিতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। চারাগুলোর অধিকাংশ নষ্ট হতে বসেছে।”
মথুরাপুর ইউনিয়নের মরিচচাষি রমজান হোসেন বলেন, “মাটিতে পানি জমে থাকার কারণে মরিচের গাছে পর্যাপ্ত মরিচ ধরে থাকলেও গাছের গোড়ায় ক্ষতি হবে ভয়ে আমরা মরিচ তুলতে পারছি না। মরিচ গাছ ভেঙে আর পানি জমে পঁচে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।”
শরীফুল ইসলাম নামের আরেক চাষি জানান, ঝিঙা, শিম, কচু, ঢেড়স, চিচিঙ্গা এ ধরনের ফসলের গাছে-লতায় পচন ধরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ফসল ইতোমধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকায় ৫ হেক্টর কলা, ১৫ হেক্টর বিভিন্ন সবজি, ২৫ হেক্টর মাসকালাই, ১০ হেক্টর তুলা এবং ২৫ হেক্টর মরিচের ক্ষেতে পানি জমেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, বিরামহীন বৃষ্টি চলতে থাকলে ধান ও অন্যান্য চাষাবাদে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই মুহূর্তে জমি থেকে যত দ্রুত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরি। মাঠপর্যায়ে দাপ্তরিকভাবে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































