কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরে দেশের সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৭তম জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দান। সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে মাঠের কাতারে দাগ কাটা, রং করা, ধোয়ামোছাসহ নানা সংস্কারমূলক কাজ শেষ হয়েছে। মাঠের চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
এবার এখানে তিন থেকে চার লক্ষাধিক মানুষের সম্ভাব্য সমাগমের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তের মুসল্লিরা এখানে নামাজে অংশ নিতে আসেন।
এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিতে দুটি স্পেশাল ট্রেন থাকছে মুসল্লিদের জন্য। এর মধ্যে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে যাবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহ জংশন থেকে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে বিশেষ একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছবে। ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে।
অপরদিকে ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় আরেকটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছবে। নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে যেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুসল্লিরা অংশ নিতে পারেন এজন্য প্রতি ঈদে এমন বিশেষ ট্রেন চালু করে আসছে রেলওয়ে।

-20240408155713-20240410100217.jpg)

































