• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

আজও আশুলিয়ায় ৪০ পোশাক কারখানা বন্ধ


সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
আজও আশুলিয়ায় ৪০ পোশাক কারখানা বন্ধ
নিরাপত্তার জন্য কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি : প্রতিনিধি

আশুলিয়ায় বেশির ভাগ পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। প্রতিটি কারখানার সামনে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। তবে এখনো কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রায় ৪০টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, ডিইপিজেড, জামগড়া, নরসিংপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। তবে সকাল ৯টার দিকে নরসিংহপুর এলাকায় কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে একে একে ৪০টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিজিএমইএ ভবনে কারখানার মালিক, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিবিদ ও স্থানীয় পোশাকখাত সংশ্লিষ্ট লোকজন নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে আশুলিয়া-ডিইপিজেড-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বড় দুইটি পোশাক কারখানা শারমিন গ্রুপ ও হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে আল-মুসলিম ও ডেকো গ্রুপসহ অন্তত ৪০টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কর্মরিবতি পালন করেন। এরপর কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েন্টার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, গতকাল বিজিএমইএ’তে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে-হাজিরা বোনাস বর্তমানে যা আছে তার থেকে আরও ২২৫ টাকা বৃদ্ধি করা, টিফিন ফি ১০ টাকা বৃদ্ধি, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। সেখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা এবং শ্রমিকদের কোনো কালো তালিকা থাকলে সেটা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৪০টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ওই সকল কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে সড়ক কিংবা মহাসড়কে শ্রমিকরা কেউ অবস্থান নেননি। কারখানার ভেতরেই শ্রমিকরা অবস্থান করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।

Link copied!