দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মিটারে বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মিটারে বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা

ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল এসেছে কুমিল্লার এক গ্রাহকের। যা দেখে রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকলেও মিটারে এক মাসের বিল এসেছে এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

কুমিল্লা নগরীর ছোটরা কলোনির বাসিন্দা তানজীদা আক্তারের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। ভূতুড়ে এ বিল নিয়ে জেলাজুগে সমালোচনা চলছে।

ভুক্তভোগী তানজীদা আক্তার জানান, গত সাড়ে ৪ বছর আগে তাদের দুই কক্ষের বাসাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিষয়টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ শাসনগাছা গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য তিনি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করলেও মিটারটি রেখে যান। এই বাবদ প্রতিমাসে ৪০ কখনো ৪৩ টাকার বিল আসে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও মিটারের একটি বিল হয়।

তিন বলেন, সাড়ে ৪ বছর পর বাড়িটিকে পুনঃনির্মাণ বলে গত আগস্ট মাসে শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাই। পরে অফিস থেকে বলা হয় প্রিপেইড মিটার নিতে। পরে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রিপেইড লাগোনো হয়। কিন্তু আগস্ট মাসে পুরাতন মিটারের বিল আসে ১৪০০ টাকা। ১৪ সেপ্টেম্বর আবার বিল আসে এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা একে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। দায়িত্বে অবহেলা ও গ্রাহকের কাছে ভূতুড়ে বিল পাঠানোর প্রতিবাদ ও তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।

জেলার বাসিন্দা মোবারক হোসনে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের ভূতুড়ে বিল তৈরির কারণে কুমিল্লায় বহু মানুষকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে। এর জ্বলন্ত প্রমাণ তানজীদা আক্তার। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা বিল এসেছে। যিন বিলটি তৈরি করেছেন আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, যে মিটারের বিপরীতে এই বিদ্যুৎ বিল তৈরি হয়েছে, ওই বাড়ির মালিক অফিসে এসে যোগাযোগ করেননি। তারপরেও আমারা তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। যাচাইবাছাই করে দেখা গেছে অন্য একজন গ্রাহকের বিল ভুলবশত ওই গ্রাহকের নামে চলে যায়। এটি দুঃখজনক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করবো।

Link copied!