বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী নদীতে ইলিশ শিকারের জালে একটি ৫২২ কেজি ওজনের ‘শাপলা পাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৫০০ টাকা কেজি দরে দুই লাখ ৬১ হাজার টাকায় বিক্রির জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে মাছটি বিক্রির জন্য নগরীর অলিগলিতে মাইকিং করছেন রুবেল নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। ভ্যান ভাড়া করে তাতে মাছটি রেখে চলছে এই প্রচারাভিযান। ওই বিশালাকারের মাছটি এক নজর দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, “আমি পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী। সোমবার মাঝ রাতে খবর পেলাম তালতলীতে বেদে সম্প্রদায়ের এক লোকের জালে বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল শাপলা পাতা মাছ। দরদাম করে কিনে নিয়ে এসেছি। মাছ বিক্রি করে তাকে টাকা পরিশোধ করব।”
বেদে জেলের বরাত দিয়ে রুবেল বলেন, ইলিশ ধরার জন্য বরিশাল শহরের উপকণ্ঠে তালতলী নদীতে জাল ফেলা হয়। কিছুক্ষণ পরে নদীর পানি কমতে থাকায় শাপলা পাতা মাছটি জালে ওঠে। জালে পেঁচিয়ে পড়ে নৌকা-জালসহ টেনে নদীর মধ্যে নিয়ে যেতে থাকে। তবে বেশি পানি না থাকায় জালে আটকে পড়া মাছটি যেতে পারেনি। তালতলী ঘাটে মাছটি নিয়ে আসার পর ৩৫০ টাকা কেজি দরে দাম দেওয়ার চুক্তিতে সেই বেদে জেলের কাছ থেকে মাছটি নিয়ে এসেছি।
ওই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আনুমানিক ৫২২ কেজির মতো হবে মাছটির ওজন। আমি মাইকিং করছি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। পোর্ট রোড রসুলপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে দুই লাখ ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানান রুবেল।
একদিকে লকডাউন অন্যদিকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিগত দুই বছর ধরে মাছ ব্যবসা ভালো চলছিল না উল্লেখ করে রুবেল আরও বলেন, শাপলা পাতা মাছটি যদি বিক্রি করতে পারি, তা হলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারব।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আঞ্চলিক ভাবে শাপলা পাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু। আগে সচরাচর পাওয়া গেলেও বর্তমানে দুর্লভ হয়ে উঠছে।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































