• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

এক ঘণ্টার জন্য পুলিশ সুপার স্কুলছাত্রী নুসরাত


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
এক ঘণ্টার জন্য পুলিশ সুপার স্কুলছাত্রী নুসরাত

জয়পুরহাটে ১ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপারের (এসপি) দায়িত্ব পালন করল জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এনসিটিএফের শিশু সাংবাদিক মেয়ে নুসরাত মাহিরা।

প্রতীকী দায়িত্ব নিয়েই জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলাকে নারীবান্ধব, বাল্যবিবাহ ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনরোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান নুসরাত মাহিরা।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

প্রতীকী দায়িত্ব নিয়ে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন নুসরাত।

নুসরাত বলেন, “জয়পুরহাটে দিন দিন বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা দিন দিন বেড়ে চলছে। যেখানে সেখানেই নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। নারী ও কিশোরী নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে আমি একজন মেয়ে হিসেবে এদেশের লাখ লাখ কিশোরীর মত স্বপ্ন দেখি একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ এবং সুন্দর সমাজের।”

প্রতীকী এই পুলিশ সুপার বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নারী ও কিশোরীরা তরুণীরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম অনলাইনভিত্তিক সাইবার বুলিং। এর মাধ্যমে নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছে। এখনো বাংলাদেশের অধিকাংশ কিশোরীরা জানে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে। আমি চাই জয়পুরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি টিম থাকবে। যার মাধ্যমে কিশোরীরা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও সবাইকে সচেতন করে গড়ে তুলবে।”

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, নারীদের বাদ দিয়ে কোনো সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীদের নিয়েই আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অসীম ক্ষমতার অধিকারী নারী। আল্লাহতায়ালা শুধু নারীকে দিয়েছেন। যে সব রাষ্ট্র যারা নারীর ক্ষমতায়ন দিয়েছে তারাই এগিয়ে গেছে। তাই নারীর সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন না দিলে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না।

এ ঘণ্টার পুলিশ সুপার নুসরাত মাহিরা দায়িত্ব শেষে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।

Link copied!