• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩০, ২০ রমজান ১৪৪৬

সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিচ্ছেন ২ ম্যাজিস্ট্রেট


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০১:৪১ পিএম
সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিচ্ছেন ২ ম্যাজিস্ট্রেট

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এক ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহকে দিয়ে আজকের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এরপর সাক্ষ্য দেবেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৫৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিচ্ছেন আজ। তারা সিনহা হত্যা মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১২ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ ছাড়া আজ সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন এসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল মোশাররফ। আরও দুইজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ আটক করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করা হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

Link copied!