• ঢাকা
  • রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

রাজশাহী বিভাগে ক্রমাগত কমছে করোনায় মৃত্যু


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১১:৩৭ পিএম
রাজশাহী বিভাগে ক্রমাগত কমছে করোনায় মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে মারা গেছেন মোট ১৬৫ জন, যাদের মধ্যে পজিটিভ ছিলেন ৪৩ জন।

১, ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১০ জন করে। সর্বশেষ ২৩ সেপ্টেম্বর সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১ জনে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত জুন মাস থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে রামেকে। 

মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে জুন মাসে এ হাসপাতালটিতে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন মোট ৩৫৫ জন, যাদের মধ্যে পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৭৫ জন। জুন মাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ২৯ জুনে ২৫জন, যাদের ৯ জনই পজিটিভ হয়ে মারা যান।

জুলাই মাসে রামেকে দেখা গেছে করোনার সর্বোচ্চ ভয়াল রূপ, করোনা ও উপসর্গে এ মাসে মারা গেছেন মোট ৫৩৪ জন, যাদের মধ্যে পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৬৯ জন। এ মাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১৪ জুলাই ২৫জন, যাদের ৭ জন পজিটিভ হয়ে মারা যান। শুধু এ মাসেই রামেকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনসহ বেড বাড়ানো হয় অন্তত ৪০০টি। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় কমে দাঁড়িয়েছে ২৪০টিতে। তবে রোগী ভর্তি থাকছে গড়ে ১০০ জন।

আগস্ট মাসে হাসপাতালটিতে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন মোট ৩৫৪ জন, যাদের মধ্যে পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৫০ জন। এ মাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১০ আগস্টে ২১জন, যাদের ৫ জন পজিটিভ হয়ে মারা যান।

রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলছেন, করোনা শুরুর পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার মোট ৯টি উপজেলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৩৮ জন। পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন মোট ৩১৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ হাজার ১০৬ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

অন্যদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, করোনা শুরুর পর রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ হাজার ২৪৩ জন। পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন মোট ১৬৬২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৪ হাজার ১৩১ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ৭ শতাংশের নিচে।

রাজশাহী মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী বলছেন, করোনা শানাক্ত ও মৃত্যু হার কমেছে মানে এই নয় যে এটি আবার বাড়বে না। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। 

শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই ভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট শিক্ষা নিয়েছেন তারা। আশা করছেন আগামীতে আবারও এমন সংকট তৈরি হলে তা ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে রাজশাহী মেডিকেল তৎপর থাকবে। করোনার চিকিৎসা নিতে বিভাগের ৮ জেলা ছাড়াও এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন খুলনা বিভাগের অনেক জেলার রোগী।

Link copied!