• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩০, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ভোটের মাঠে মা-মেয়ের লড়াই!


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ১১:০০ এএম
ভোটের মাঠে মা-মেয়ের লড়াই!

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় পুরো দমে মাঠে নেমেছে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের প্রার্থীরাও। 

এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মা-মেয়ে। 

ইতোমধ্যে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই মা-মেয়ে। তবে মা-মেয়ের নির্বাচনী এই লড়াইয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। এক কথায় প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কেউ।

এই ঘটনাটি দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের। সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শতদল আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মা জীবন নাহার ও মেয়ে বুলবুলি আকতার। তবে এই ওয়ার্ডে মোট ৫জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী রয়েছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।

এদিকে মা জীবন নাহারারের অভিযোগ মেয়ে বুলবুলি আকতার বিষয়টি পরিবারসহ কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই মায়ের বিরুদ্ধে একই ওয়ার্ডে স্বামীর কথায় ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।

শতদল আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা লাবলু ও আলাউদ্দিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দুই বারের নির্বাচিত মহিলা সদস্য জীবন নাহার। মাঠ পর্যায়েও তার অবস্থান ভালো। তবে এর মধ্যে উনার মেয়ে বুলবুলি একই ওয়ার্ডে ভোট করায়  আমাদের মধ্যে দ্বিধাদন্দ শুরু হয়ে গেছে কাকে ভোট দিব, কাছে ছাড়বো। সম্ভবত এই দুই মা-মেয়ের লড়াইয়ে তৃতীয় পক্ষ জয়ী হয়ে যাবে।”

একই ইউনিয়নের মাগুরা আদর্শ উচ্চ গামের জরিনা বেগম বলেন, “মা-মেয়ে এক জায়গায় দাঁড়ালো এটা কেমন দেখাচ্ছে! এখন একই পরিবারের দুইজন হওয়ায় সমস্যা হয়েছে, কাকে রেখে কাকে ভোট দিব আমরা।

এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা পদপ্রার্থী মা জীবন নাহার বলেন, “বর্তমানে এলাকায় আমার অবস্থান অনেকটাই ভালো আছে। এর আগে দুই বার নির্বাচিত হওয়ায় অনেক ভালো কাজ করেছি। যোগ্য হওয়ায় ভোটাররা আমার সঙ্গে আছে। ইনশাআল্লাহ জয় হবে। 

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মেয়ে বুলবুলি কারো সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার না করে স্বামীর কথায় ভোট করছে। তার ভোট করার ইচ্ছা, আমাক আগে বললে আমি আমার জায়গা থেকে বসে যেতাম।”

এদিকে বুলবুলি আকতার বলেন, “ আমি মা ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোটের মাঠে নেমেছি। কার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে তা আগামী ১১ নভেম্বর ভোটের দিনে জানা যাবে।”

তবে একই পরিবারের দুই মা-মেয়ের ভোট যুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও ভোটাররা। আর এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর ব্যালট পেপারের মাধ্যেমে তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আর কোনভাবেই যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সে দিক দেখে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
 

Link copied!