নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ভানুমতীর খেল আমাকে দেখাইয়েন না। আমার কর্মীর ওপর হাত দিয়েন না। এগুলো বন্ধ করেন।
শনিবার (২ অক্টোবর) রাত আটটায় ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামের উদ্দেশে এ কথা বলেন বাদের মির্জা।
লাইভে কাদের মির্জা বলেন, “আমারে আপনি কোণঠাসা করবেন। আমার কর্মীদের গ্রেপ্তার করবেন। হত্যা করবেন। আলমগীর সাহেব (সাবেক এসপি মো. আলমগীর হোসেন) তো দরজা পাইছে যাইবার লাই। আমনে দুয়ার টোয়াই (খুঁজে) হাইতেন ন। সাবধান।... সরকারি খালের জায়গা আমি উদ্ধার করার জন্য গেছি, আপনি খাইছেন ১০ লাখ, আপনার ওসি খেয়েছে ৫ লাখ। টাকা খেয়ে পুলিশ পাহারা বসাইছেন। কত দিন পুলিশ পাহারা বসাবেন, আমি দেখতে চাই।”
এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদ্য শেখ সেলিমের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, “শেখ সেলিমদের সাথে নাকি আমাদের এলাকার অপরাজনীতির হোতা সেই ছেলে (মিজানুর রহমান) পঙ্গুত্বের অভিনয় করে শেখ সেলিমের কাছে গেছেন। সেলিম সাহেব নাকি ডিআইজিকে বলেছেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আপনার মতো একজন জাতীয় নেতা কিছু যাচাই না করে কেন আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। বাংলাদেশে এখন একটা কথা আছে, অপরাজনীতির হোতাদের শেল্টার দিচ্ছেন শেখ সেলিম সাহেব। আমি আহ্বান জানাব, নেতৃত্বে আছেন নেতৃত্বসুলভ আচরণ করেন। আপনারা কী করেন সবাই জানে।”
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, “আপনাদের মাথায় ঢুকেছে জোর করে ভোট নিয়ে আপনারা আবার পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। এটা কি রাজনীতি? ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধু নেতা হয়েছেন? ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধু কি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন? আজকে আপনাদের মাথায় ঢুকেছে ভোট চুরি করবেন। এলাকার সাথে সম্পর্কের দরকার নাই। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে কয় বছর এখানে আসেন না? এলাকার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন নাই।”
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আরো বলেন, “অন্য এমপিদের অবস্থাও একই। দুই-চারজন এলাকায় আসে টিআর–কাবিখার টাকা, রাস্তার কাজের ভাগ নেওয়ার জন্য। এভাবে চলতে দেওয়া যায়? বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তা ৫০ বছরেও কেউ করতে পারেনি। আর আপনার তাঁর সকল অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছেন।”