সরকার অনুমতি দিলেও প্রস্তুতি না থাকায় এবং যাত্রী স্বল্পতার কারণে বরিশাল টার্মিনাল থেকে লঞ্চ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী রাতে হঠাৎ লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্তের খবর গণমাধ্যমে দেখে কিছু যাত্রী ঘাটে এসে উপস্থিত হন। তারা রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিতে চান।
যাত্রীরা জানান, নদীবন্দরে পৌঁছে তারা জানতে পারেন, লঞ্চ ছাড়ার বিষয়ে সরকার নির্দেশনা দিলেও কর্তৃপক্ষ ছাড়ছে না। আর এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ঢাকা-বরিশাল রুটের বিলাসবহুল লঞ্চ এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯-এর সুপারভাইজার সেলিম মাহবুব জানান, গণমাধ্যমে লঞ্চ ছাড়ার সরকারি সিদ্ধান্ত তারাও জেনেছেন। তবে এর জন্য কোনো প্রস্তুতিই ছিল না তাদের। এ ছাড়া লঞ্চ চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় স্টাফ লঞ্চে নেই।
তিনি আরও জানান, নদীবন্দরে উপস্থিত যাত্রীসংখ্যাও খুব কম। এ অবস্থায় লঞ্চ ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত তাদের কাছে নেই বলে জানানো হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন সেখানে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যাত্রী অপ্রতুল, এরপরও আমরা লঞ্চ ছাড়ার জন্য বলেছি। যাত্রী বাড়লে লঞ্চ ছাড়বে বলে জানান তিনি।