সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে পর্নোভিডিও তৈরিতে বাধ্য করতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোরসালিনের বিরুদ্ধে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মোরসালিনকে।
রোববার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মোরসালিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। এর আগে শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে মোরসালিনকে আটক পুলিশ।
উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার পঞ্চবটি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মোরসালিন।
পুলিশ জানায়, সোনারগাঁ পৌরসভার ফতেকান্দী গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আমেনা আক্তারকে (১৯) এক বছর আগে সোনারগাঁ জিআর স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন লাহাপাড়া এলাকা থেকে মোরসালিনসহ কয়েকজন সঙ্গীসহ অপহরণ করে।
পরে জোড়পূর্বক বিয়ে করেন মোরসালিন। বিয়ের একমাস পর থেকে তার আমেনাকে দেহব্যবসা ও পর্ণোগ্রাফি ভিডিও করতে চাপ সৃষ্টি করে স্বামী। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেড় লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নানা সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন মোরসালিন। স্বামীর নির্যাতনে আমেনার দুই কান দিয়ে রক্তক্ষরণসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
নির্যাতিত গৃহবধূ আমেনা আক্তার বলেন, “আমার স্বামী মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে নানা সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এরই মধ্যে আমি সন্তান ধারণ করলে আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে জোড়পূর্বক গর্ভপাত করায়। ৮ জুলাই সে তাদের ভাড়াবাড়িতে আমাকে আবারো তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করার একপর্যায়ে ঘরে থাকা বটি নিয়ে আমাকে জবাই করতে আসে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জার থেকে আমি জানতে পারি সে বিভিন্ন মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে দেহব্যবসা ও পর্নোগ্রাফি তৈরি করে। বিষয়টি আমি জানার পর মামার বাড়িতে চলে আসি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম বলেন, “স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বখাটে মোরসালিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”