• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

দুলাল হত্যায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০৮:০৭ পিএম
দুলাল হত্যায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুলাল শেখ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ে ৫ আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। 

২০১২ সালের ২ জুন রাতে আসামীরা দুলাল শেখকে পরস্পর যোগসাজসে কুপিয়ে হত্যা করে। 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুকসুদপুর উপজেলার ভট্টাচার্য্য কান্দি গ্রামের মো. মান্নান শেখের ছেলে ফক্কার শেখ, মুছা শেখের ছেলে মো. মেহেদী হাসান শেখ, গোহালা গ্রামের শংকর সাহার ছেলে সুমন সাহা, একই গ্রামের মো. কাঞ্চন ফকিরের ছেলে মো. কাওছার ফকির এবং শ্রীজিতপুর গ্রামের সিরাজ মোল্লার ছেলে মো. আল আমিন মোল্লা।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মোঃ শহিদুজ্জামান খান পিটু এবং আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মুন্সী মোঃ আতিয়ার রহমান এবং মোহাম্মদ আবু তালেব শেখ।মামলার বাদী ছিলেন নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগম।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ জুন রাতে আসামিরা দুলাল শেখকে পরস্পর যোগসাজসে কুপিয়ে হত্যা করে কুমার নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ৩ জুন নদীর পানি থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই মুকসুদপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-০৫। পুলিশ তদন্ত শেষে ফক্কার শেখ, মো. মেহেদী হাসান শেখ, সুমন সাহা, মো. কাওছার ফকির এবং মো. আল আমিন মোল্লাকে আসামি করে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ (মঙ্গলবার) ৫ আসামিকে (পলাতক) ফাঁসির আদেশ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি আল আমিন মোল্লা বিদেশে থাকলেও বাকি ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় মো. মেহেদী হাসান শেখ ও সুমন সাহা দুলালকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে চার আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।


 

Link copied!