গত ১৫ নভেম্বর নিজ নিজ পরিবারের কাছে তবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান চার যুবক। এরপর আর ফেরেননি তারা।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, “তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে তৎপর আছে।”
ওই চার যুবক হলেন সিরাজ মিয়ার ছেলে সাদিকুর রহমান সাদিক, ছোরাব আলীর ছেলে হাসান সাঈদ, মানিক মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া ও সামছুল হক স্বপনের ছেলে শেখ আহমেদ মামুন। তাদের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলাধীন ৭ নম্বর দয়ামীর ইউনিয়নের দয়ামীর গ্রামে।
হাসান সাঈদের বাবা ছোরাব আলী বলেন, বছর তিনেক আগে ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করে এরপর থেকে এলাকায় অবস্থান করছিল সাঈদ। ৫ মাস আগে তাকে বিয়ে করাই। বেরিয়ে যাওয়ার দিন সে বলেছে বিদেশি তবলিগ জামাতের সঙ্গে যোগ দেবে। এরপর থেকে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে তার খোঁজ-খবর নিতে গেলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শেখ আহমেদ মামুনের বাবা সামছুল হক স্বপন বলেন, সে (মামুন) বাজারে যাচ্ছে বলে বের হয়। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ দেখায়। এখনও মোবাইল ফোনটি বন্ধ আছে। সে লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
মানিক মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া তবলিগের কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেছেন। তার ব্যক্তিগত কোনো মুঠোফোন নেই। তিনি এলাকায় থাকাকালীন সময়ে দারোয়ানের কাজ করতেন।
সিরাজ মিয়ার ছেলে সাদিকুর রহমানও তবলিগে যাওয়ার কথা বলে গেছেন। তিনি মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে বছর তিনেক আগে বিয়ে করেন এবং এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
জানা গেছে, নিখোঁজ ৪ জন বেশ কিছুদিন ধরে এক সঙ্গে চলাফেরা করছিলেন। তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।


































