• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩০, ১৩ শা'বান ১৪৪৬

কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত ‘কেচ্ছা রাসেল’ ও শাহীন গ্রেপ্তার


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ১২:৪৪ পিএম
কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত ‘কেচ্ছা রাসেল’ ও শাহীন গ্রেপ্তার

নানা ঘটনা, অস্ত্র  হাতে মহড়া ও হামলার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বেশ কয়েক মাস পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত সহিদ উল্যাহ ওরফে কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি পাইপগান ও ৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের লোহারপুল এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে। তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাসেলের বিরুদ্ধে ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত অস্ত্রসহ বিভিন্ন ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ বসুরহাট বাজারে চলতি বছরের ১৩ মে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করলে আলোচনায় আসেন রাসেল। গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূল হোতা এই রাসেল। আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ জাহান সাজু, ছাত্রলীগ নেতা করিম উল্যাহ শাকিল ও সাংবাদিক সুভাস চন্দসহ অন্তত ২০ জনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে। 

অন্যদিকে একই রাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছারপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। শাহীন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।

রাসেল ও শাহীনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার রাসেলের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

Link copied!