ইনিংসের প্রথম দিকে রান করতে যেন হিমশিম খাচ্ছিলেন রংপুরের ব্যাটাররা। ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে দলটি। তবে এরপর ব্যাট হাতে রংপুরের পুরো ইনিংস টেনেছেন শোয়েব মালিক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ওমরজাই।
পুরো ইনিংসে রংপুরের বোলারদের উপর আধিপাত্য দেখিয়েছেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত শোয়েবের ৪৫ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে চট্টগ্রামকে চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই রংপুরের ওপেনার শেখ মেহেদীকে ফিরিয়ে দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন ও নাঈম শেখ রীতিমতো রান করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছিলেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ বলে ৬ রান ইমনও ফিরে গেলে চাপে পড়ে রংপুর।
একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও আরেক প্রান্তে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। তবে তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৪৭ রানে ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার।
এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন রংপুরের পাকিস্তানি ব্যাটার শোয়েব মালিক। দু’জনের ব্যাটিংয়ে সব চাপ যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায় রংপুর শিবির থেকে।
পাল্টা আক্রমণে চাপের বদলে আধিপাত্য বিস্তার করতে থাকেন শোয়েব মালিক। ১০ম ওভার করতে আসা তাইজুলের এক ওভারেই দুই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু, এরপর থেকে প্রত্যেক বোলারকেই তুলোধনা করেছেন শোয়েব।
অন্যপ্রান্তে তাকে যোগ্য সমর্থন দিয়েছেন ওমরজাই। প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে শোয়েবের কাজও আরও সহজ করে দিয়েছেন রংপুরের এই আফগান ক্রিকেটার।
২৫ বলে ৩২ রানে থাকা অবস্থায় টানা দুই ছক্কার পর এক সিঙ্গেল এবং আবার ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করেন শোয়েব। বিপিএলের চলতি আসরে এটা তার দ্বিতীয় ফিফটি।
অন্যপ্রান্তে ততক্ষণে ব্যাট হাতে চার ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তুলেছেন ওমরজাইও। দু’জনের তাণ্ডবে রংপুরের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫০ বলে জমা হয়েছে ১০০ রান। দলীয় ১৫২ রানে ফেরার আগে ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস।
তবে সঙ্গী হারালেও ব্যাট হাতে ঝড় চালিয়ে গেছেন শোয়েব। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর।