• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের হারের স্বাদ পেল নেদারল্যান্ডস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের হারের স্বাদ পেল নেদারল্যান্ডস
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত নেদারল্যান্ড। ২৩ বছর পর বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ডাসরা। গত দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। ৩০৯ রানে হারিয়ে আসরের তৃতীয় জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। এতেই নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের হারের স্বাদ পেল।

দিল্লিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারে শতকের পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে অজিরা ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাটিংয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও দাপট দেখান ২২ গজে। বোলারদের দাপটে ২১ ওভারে ৯০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া পাহারড়সম রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডাস দুই ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড ও বিক্রমজিৎ সিং ভালো মতোই জবাব দিচ্ছিলেন অজি বোলারদের। তারা ৪ ওভারে রান তুলেছিল ৭ এর উপরে। এরপরেই তাদের আধিপত্য শেষ। পঞ্চম ওভারে ম্যাক্সকে সরাসরি বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞের শুরু করেন মিচেল স্টার্ক। এক ওভার পর দ্বিতীয় উইকেটের পতন ডাসদের। ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত রানআউটে সাজঘরে ফেরেন বিক্রমজিৎ। রান আউটের পর ১০ রান করে কলিন অ্যাকারম্যান ফিরে গিয়েছেন জশ হ্যাজেলউডের বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে। আর ৫৩ রানে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার বাস ডি লিড আউট হলে ডাচদের পরাজয় হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার।

এরপর সাইব্যান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখট, তেজা নিদামানুরু কেউই টিকতে পারেননি এমন বোলিং তোপের সামনে। ৮৪ থেকে ৯০ এই ৬ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। এতেই শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯০ রানেই অলআউট হয়ে ৩০৯ রানের বড় হারের স্বাদ পায় নেদারল্যান্ডস। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়। অ্যাডাম জাম্পা ৩ ওভার বল করে ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। এর মধ্যে তিনি একবার জোড়া উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে ছিলেন।

এর আগে, অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার মিচেল মার্শ বিদায় নেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৯ রান। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে অজিরা কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এরপর অবশ্য সেই চাপ কাটিয়ে তোলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার স্কোরবোর্ডে ১১৮ বলে ১৩২ রান জমা করেন। এই অভিজ্ঞ জুটির মৃত্যু হয় স্মিথের বিদায়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৭১ রান। এরপর আরও একটি বড় জুটি গড়েন ওয়ার্নার। এবার তার সঙ্গী মার্নাশ লাবুশেনে।

তৃতীয় উইকেটে এই দুই জন মিলে করেন ৮৪ রান। ৬২ রানে লাবুশেনে বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে। লাবুশেনের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি জস ইংলিস ও ক্যামেরুন গ্রিন। অন্যপ্রান্তে ঠিকই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। তিনি তুলে নেন বিশ্বকাপে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে লিটল মাস্টার শচিন টেন্ডুলকারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরির পাশে বসলেন এই ওপেনার। এই অজি ব্যাটারের সামনে শুধুই এখন ৭ সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা।

এদিন সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি ওয়ার্নার। তার ইনিংসের সমাপ্ত হয় ৯৩ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৪ রান করে। অজি এই ওপেনারের বিদায়ের পর শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল ঝড়। তিনি ঝড়ো ব্যাট চালিয়ে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরন করেন। এরপর আর ১৩ বল খেলতেই পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ঘরে। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।

তার এই ঝড় থামে ৪৪ বলে ৯ চার ৮ ছক্কায় ১০৬ রানে গিয়ে। আর শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গিয়ে থামে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রানে গিয়ে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন লোগান ফন বিক।

Link copied!