আইপিএল মানে তুমুল উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এবার পরপর দুইদিন উত্তেজনা টের পেলো আইপিএলপ্রেমীরা। আগের দিন রিংকু সিংয়ের শেষ ওভারে ৫ ছক্কার কল্যাণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়, পরের দিনই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে শেষ বলের উত্তেজনায় লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ১ উইকেটে জয়।
ম্যাচে টস জিতে লখনৌ প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাঙ্গালুরুর তিন হাই প্রফাইল তারকা বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ফিফটির সৌজন্যে দুইশত রান পার করে তারা। ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি ৪৪ বলে ৬১, ডু প্লেসিস ৪৬ বলে ৭৯ ও ম্যাক্সওয়েল মাত্র ২৯ বলে ৫৯ রান করেন।
মাত্র দুই দুইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১২ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে শুরু থেকেই খেই হারাতে থাকে লখনৌ। মাত্র ১ রানেই কাইল মেয়ার্স আউট হন। দলীয় ২৩ রানে আউট হন দীপক হুদা। একই রানে আরেক উইকেটের পতন হলে দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বেশ বিপাকেই পড়ে দলটি। সেখান থেকে মার্কাস স্টয়নিস ৩০ বলে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
অবশ্য মূল কাজটা করেন নিকোলাস পুরান। চারটি ৪ আর ৭ ছক্কায় ১৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। ম্যাচের ১৭ ওভারের শেষ বলে পুরান আউট হলে আবার শঙ্কায় পড়ে লখনৌ।
শেষ ওভারে লখনৌর দরকার ছিল ৫ রান। হাতে ৩ উইকেট। প্রথম ৫ বলে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৪ রান নিতে সক্ষম হয় তারা। জয় পেতে শেষ বলে লখনৌর দরকার ১। অন্যদিকে, ব্যাঙ্গালুরুর দরকার শেষ উইকেট।
শেষ বল স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা আভেশ খান লাগাতে পারেননি। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের কাছে। কিন্তু কার্তিক ধরতে ব্যর্থ হলে দৌড় দেন আভেশ। নিশ্চিত হয় লখনৌর শ্বাসরুদ্ধকর জয়।




































