মূল লড়াই শুরুর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মিরাজের দল। টস জিতে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানরা ৪৯.১ ওভারে ব্যাট ৯ উইকেটে তোলেন ২৬৩ রান। কুশল পেরেরা আগেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ে। জবাবে বাংলাদেশ ৪২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে জয় লঙ্কানদের সেই রান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুই ওপেনারকে নিয়ে পজিটিভ কথা বলেছিলেন। তার কথার ভালোভাবেই মর্যদা দিচ্ছে লিটন ও জুনিয়র তামিম। বেশ কয়েকটা ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনারদের ব্যাট হাসতে ছিল না। লিটন তো ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। আর তরুণ তামিম খুব একটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারেননি ব্যাট হাতে। তবে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে হেসেছে দুই ওপেনারের ব্যাট। দুইজনই তুলে নেন ফিফটি। তবে, অর্ধশতকের পর আর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাস। আউট হন ৬১ রানে। দুশান হেমান্তা নেন লিটনের উইকেট। তার বিদায়ে ভাঙে ১৩১ রানের জুটি।
এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। এই জুটি তোলেন ৫২ রান। দারুণ খেলতে থাকা জুনিয়র তামিম যখন শতকের ১৬ রান দূরে তখন বিদায় নেন তামিম। ৮৪ রান করা তামিমের উইকেট তুলে নেন লাহিড়ু কুমারা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ প্রস্তুতি ম্যাচেও তাওহীদ হৃদয়। প্রথম বল ফেইস করেই বিদায় নেন এই ব্যাটার শূন্য রান করে।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ। ক্যাপ্টেন নক খেলা মিরাজ তুলে নেন অর্ধশতকও। মিরাজ ৬৭ ও মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।
এর আগে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। ৪৯.১ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা ২৬৩ রান সংগ্রহ করে। টাইগার বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান ৩৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কেবল উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ঝড়ো শুরু এনে দেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা এবং কুশল পেরেরা। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৬৪ রান। দশম ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা। উইকেটে আসেন কুশল মেন্ডিস।
ওপেনিং পার্টনারকে হারালেও মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন নিসাঙ্কা। কিন্তু ১৫তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। পরের ওভারেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আউট করেন শেখ মেহেদী।
পাথুম নিসাঙ্কা ফেরেন ২০তম ওভারে। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ বলে ৬৮ রান করে শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। নিসাঙ্কা আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার রানের গতি কমে। চাপ সামলাতে না পেরে আসালঙ্কাও ফেরেন শেখ মেহেদীর বলে, ২৯ তম ওভারে।
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাও। ১৭ বলে ৩ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান কাপ্তান।
শেষদিকে একাই লড়াই করেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৭৯ বলে তার ৫৫ রানের ইনিংস থামে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ২৬৩ রানে।
পায়ে চোট পাওয়ায় এ প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগার শিবিরে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের ভার সামলাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।