সাবেক প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার আন্তনির বিরুদ্ধে। এ কারণে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিল দল থেকে বাদ পড়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উইঙ্গার।
৯ ও ১৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুইটি ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচ দুইটিকে সামনে রেখে সেলেসাওরা স্কোয়াডে ঘোষণা করেছে। এবার সেই স্কোয়াড থেকে আন্তনির নাম বাদ দিলেন ব্রাজিল। এই ফুটবলারের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন আর্সেনালের স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। আন্তনিকে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন বাদ দিয়েছে কারণ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার সঠিক তদন্ত হওয়া জন্য।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তনির সাবেক প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েলা কাভালিন অভিযোগটি ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম `ইউওএল` প্রকাশ্যে আনে। গ্যাব্রিয়েলার অভিযোগের ভিত্তিতে সাও পাওলো এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও আন্তনি নিজে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে । সেখানে আন্তনি লিখেছেন, “আমি শান্ত ভাবে বলছি, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। যেসব তথ্য-প্রমাণ পেশ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে পেশ করা হবে, সেগুলোই দেখাবে যে আমি নির্দোষ। আমি বিশ্বাস করি, চলমান তদন্তে পুলিশ আমার নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করবে।”
আন্তনির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্তনি তার সাবেক বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলা কাভালিনকে ১৫ জানুয়ারি ম্যানচেস্টারের একটি হোটেল রুমে নির্যাতন করেছেন। সে সময় গ্যাব্রিয়েলাকে মাথা দিয়ে আঘাত করেন আন্তনি। এ কারণে তার মাথা ফেটে যায় এবং পরে চিকিৎসাও নিতে হয়। তবে শুধু এটাই না গ্যাব্রিয়েলার অভিযোগ, আন্তনি তার বুকে আঘাত করেছেন, এতে তার কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা স্তনের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তাকে আবার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
এদিকে আন্তনি এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সাবেক প্রেমিকার সম্পর্ক অশান্ত অবস্থায় ছিল। কিন্তু এ কারণে কোনোপ্রকার শারীরিক আক্রমণ তিনি করেননি তাকে। গত জুনেও একবার আন্তনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন তার সাবেক প্রেমিকা। তখনও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এদিকে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ (জিএমপি) বলেছে, অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তারা সচেতন এবং সত্যতা উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। তবে এই মুহূর্তে তারা এ নিয়ে আর বিশেষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে আন্তনির বর্তমান ক্লাব ইউনাইটেডও এখনই কোনো কিছু বলতে রাজি হয়নি। এর আগে ক্লাবটির ফরোয়ার্ড ম্যাসন গ্রিনউডের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ছয় মাসের তদন্ত শেষে তাকে আলোচনার মাধ্যমে ক্লাব ছাড়া করা হয়। ২১ বছর বয়সী ম্যাসনকে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ ক্লাব গেতাফেতে ধারে খেলতে পাঠানো হয়েছে।