আজ (১০ নভেম্বর) সেমি ফাইনালে নামার আগে নিশ্চয়ই ২০১৯ সালের ১৪ জুলাইয়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল কেন উইলিয়ামসনদের। সেই রাতে লর্ডসের বিখ্যাত ব্যালকনিতে বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচু করে ধরেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কারণ, দারুণ লড়াই শেষে বাউন্ডারির অদ্ভুত আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে সেই ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
সে দিনের দুঃখ কিছুটা হলেও আজ হালকা হলো তাদের। আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে সেই ইংলিশদের হারিয়েই শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কিউইরা। মানে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে জয় তুলে নেয় কিউইরা।
ইংলিশদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে (৪) হারায় তারা। দলীয় ১৩ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও (৫)। তবে অন্য ওপেনার ড্যারিল মিচেল এক প্রান্তে অবিচল থেকে নীরবে লিখে চলছিলেন ‘ইংলিশ-বধ’ কাব্য। চারে নামা ডেভোন কনওয়েকে নিয়ে মিচেল গড়েন ৬৭ বলে ৮২ রানের জুটি। শুরুতে রানের গতিটা কিছুটা মন্থর ছিল, শেষ ১০ ওভারে কিউইদের প্রয়োজন ছিল ১০৯ রানের। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হন কনওয়ে। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ১টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার। এরপর গ্লেন ফিলিপিস (২) এসেই দ্রুত বিদায় নেন।
নিউজিল্যান্ডের রানের পালে হাওয়া তোলেন জেমস নিশাম। ৩ ছক্কা ও ১ চারে সাজানো তার ১১ বলে ২৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ম্যাচ ঘুরে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে। মিচেলের সঙ্গে তার ৪০ রানের জুটিটি ছিল মাত্র ১৭ বলের। এরপর জয়ের বাকি কাজটা সারেন মিচেল নিজে। ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেই তবে মাঠ ছাড়েন। ৪টি করে ছক্কা ও চারে সাজিয়ে ৪৭ বলে করেন অপরাজিত ৭২* রান। ম্যাচজয়ী এই ইনিংস খেলার পুরস্কারস্বরূপ ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। আদিল রশিদ নিয়েছেন একটি উইকেট।