টিউশন ফি আদায়ের পর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করেছে নেদারল্যান্ডসের ফনটিস ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স। তাদের যুক্তি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নেদারল্যান্ডসে আসার পর পড়াশোনা করবে না। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির ইতিবাচক ফলাফল জানানোর পর টিউশন ফিসহ এক বছরের থাকার খরচ পাঠাতে বলে। টিউশন ফি পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত ইমিগ্রেশন অফিসে (আইএনডি) তাদের ভিসার আবেদনপত্রের জন্য আবেদন করার কথা। ভিসার আবেদনপত্র পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হঠাৎ বাংলাদেশি ছাত্রদের ভর্তি বাতিল করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারণ হিসেবে ছাত্ররা সেখানে গিয়ে পড়বে না বলে জানিয়েছে।
জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসের স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্পন্সর হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করে। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পর সাক্ষাৎকার নেয়। সাক্ষাৎকার ইতিবাচক মনে হলে তারা ভর্তি নিয়ে টিউশন ফিসহ এক বছরের বসবাস করার মতো খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে বলে।
এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখন টাকা ফেরত পাঠালেও আমার অন্তত ১ হাজার ইউরোর (বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ১ লাখ টাকা) মতো ক্ষতি হবে। কারণ, যখন টাকা পাঠিয়েছি তখন ইউরোর রেট বেশি ছিল এখন কম। এছাড়া এক বছরের মতো সময় অপচয় হয়েছে আমার। এই সময় তো তারা ফেরত দিতে পারবে না।’
শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগের বিষয়ে ফনটিস ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ বিভাগ জানায়, “আমরা একজন শিক্ষার্থীর স্টাডি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা মূল্যায়ন করি। সতর্কতার সাথে মূল্যায়ন করার পরে যদি শিক্ষার্থীর গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ হয় তাহলে ওই শিক্ষার্থীদের আবেদনগুলো আমরা প্রত্যাখ্যান করি। দুর্ভাগ্যবশত এই বিবেচনায় অধিকাংশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।”