রাজধানীতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নতুন আরও তিনটি রুটে শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান। এদিন নগর ভবনে বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, “রাজধানীতে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা আরও তিনটি রুটে শিগগিরই নগর পরিবহন চালুর বিষয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এই রুট তিনটি সবুজগুচ্ছের আওতায় ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর রুট।
২২ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর থেকে বসিলা ও আসাদগেট হয়ে ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন ও রূপসী হয়ে ভুলতা,
২৩ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর থেকে বসিলা, আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, পল্টন কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও সাইনবোর্ড হয়ে মেঘনা ঘাট।
২৬ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর থেকে বসিলা, আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, কাকরাইল, শাপলা চত্বর, দয়াগঞ্জ ও পোস্তগোলা হয়ে নারায়ণগঞ্জ।
এ সময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিনসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চালু হয়েছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’।
ঢাকা নগর পরিবহনে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কেউ যদি এক স্টেশন থেকে উঠে পরের স্টেশনে নামে তাহলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নেমেছে। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে এই উদ্যোগে মোট ১০০টি বাস যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ রুটে রুট পারমিটবিহীন কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না।