গাড়িচাপায় বিজিবির সাবেক সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহতের ঘটনায় অবশেষে ভুক্তভোগীর মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মামলাটি নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, “ভুক্তভোগীর মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলাটি নেয়া হয়েছে “
মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না- প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, “মামলাটি হয়েছে, আপাতত এটুকুই তথ্য।”
বনানী থানা সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫। সড়ক নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত মনোরঞ্জন হাজংয়ের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় হাজং বলেন, “মামলা হয়েছে কি না আমরা এখনও জানি না। তবে যদি অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করা হয়ে থাকে তাহলে আর কী লাভ হবে। আমরা তো আসামির নাম নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দিয়েছিলাম।”
এদিকে মামলার বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, “অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিরাপদ সড়ক আইনে আজকে মামলাটি রুজু হয়েছে।”
এর আগে ২ ডিসেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন ইউটার্নের মুখে দুর্ঘটনার আহত হন মনোরঞ্জন হাজং। ঘটনার পর গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রোপচার করে ভুক্তভোগীর ডান পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে।
অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ডান পায়ের উরু থেকে সম্পূর্ণ পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরে মনোরঞ্জনের শারীরীক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।