• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যুবলীগের মারামারি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যুবলীগের মারামারি

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘১৫ ও ২১ আগস্টের শহিদদের’ স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মারামারির সময় নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল তখনও অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হননি। চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভায় দক্ষিণ যুবলীগের নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। রাজধানীর মতিঝিলের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের পৃথক দুইটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করে। হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়। যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চ থেকে বারবার তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও হাতাহাতি চলছিল। প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বেশ কয়েকজন জানান, মতিঝিলের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে বহিস্কৃত সহসভাপতি নূর ইসলাম নূরুর অনুসারীরা এই বিশৃঙ্খলা করে। এক পর্যায়ে দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। আহতদের শান্তনা দেন তিনি।

চেয়ার ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে নূর ইসলাম নূরু বলেন, “ক্যাসিনো মামলার আসামি জামাল ও তার গ্রুপের লোকজন আজকে সমাবেশে এসেছে বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমরা যারা আজকে এই আলোচনা সভায় এসেছি, তাদের ওপরে অতর্কিত হামলা করছে জমালের লোকজন। আমাদের ৫টা মোবাইল ও টাকাভর্তি তিনটা মানিব্যাগ নিয়ে গেছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জামাল বলেন, “নুরু হচ্ছে সাবেক যুবদল নেতা। তাকে কয়েকদিন আগে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার লোকজন প্রথমে হামলা করেছে। জামাল আগে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।”

Link copied!