• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর মতোই সাহসী ছিলেন : বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম
শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর মতোই সাহসী ছিলেন : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই সাহসী ও নির্ভীক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন, সেই চেতনা বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিলেন তিনি।”

শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, অসীম সাহসী, দেশপ্রেমিক ও অন্যতম সংগঠক। রাষ্ট্রনায়কের ছেলে হওয়া স্বত্বেও তার কোনো অহংকারবোধ ছিল না। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার গুণাবলী ছিল তার মধ্যে। তিনি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজকর্মে যুক্ত থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। ক্ষমতার প্রতি তার কোনো মোহ ছিল না।”  

নিজেকে শেখ কামালের একজন সহযোদ্ধা উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, “পুরো ঢাকা বিভাগের ছাত্রলীগকে সামলাতেন শেখ কামাল। আমাকে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং ন্যায্যতার পক্ষে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তিনি আজীবন সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন।”

শেখ কামালের সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছিলাম না। পরে শেখ কামালকে জানালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেন।”

মন্ত্রী জানান, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহী ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্র দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপ্লবের জন্ম দেয়। খেলাধুলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা ছাড়াও অসাধারণ নেতৃত্বের ক্ষমতা ও বহুমুখী গুণাবলীর প্রতিভার অধিকারী অনন্য সংগঠক ছিলেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। তারা বুঝতে পেরেছিল, পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে আবার দেশের মানুষ তার নেতৃতে সংগঠিত হবে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনিস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান পিএসসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!