বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর)। এদিন সড়কপথে পরিবহন সংকট থাকায় ভোগান্তি থেকে বাঁচতে মেট্রোরেলকে নিরাপদ বাহন হিসেবে ব্যবহার করছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই যাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অনেক যাত্রী।
মতিঝিল মেট্রো স্টেশনে দেখা যায়, সাধারণ যাত্রীদের ভিড়ে অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের। এই অবস্থায় শিডিউল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দুপুর ১২টা করা হয়। যদিও প্রবেশ গেট সাড়ে ১১টায় বন্ধ করা হয়।
প্রবেশমুখ গেটের দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মতিঝিল থেকে সবশেষ বেলা সাড়ে ১১টায় মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশনের দিকে রওনা হয়। আমরা সেই হিসেবেই গেট বন্ধ করে দিই। আর যাত্রী প্রবেশ করতে দিই না। তবে ভিতরের যাত্রীরা টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়তে পারেন।”
টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদকের। তাদের একজন আলমগীর হোসেন। টিকিট কাউন্টারের লাইন দীর্ঘ হওয়ায় যাত্রা নিয়ে অনেকটাই শঙ্কা দেখা দিয়েছে তার। তবে শিডিউল ডিসপ্লেতে সময় পিছিয়ে দেওয়ায় খুশি হয়েছেন তিনি।
আলমগীর হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “প্রথমে কাউন্টারে এসে দেখি সাড়ে ১১টায় টিপ। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে লাইনেই সাড়ে ১১টায় বেজে যায়। তাই যেতে পারব কি না তা নিয়ে খুব ভয়ে ছিলাম। বাসায় যেতে হবে তাড়াতাড়ি। তবে শিডিউল ডিসপ্লেতে গিয়ে দেখি ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।”
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, “অবরোধের দিন মেট্রোরেলে যেতে পেরে খুব ভালো লাগবে আমাদের। স্বস্তিও হবে। সড়কপথে প্রতিযোগিতা করে বাসে ওঠা থেকে মুক্তি মিলবে।”
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বর্তমানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করলেও জানুয়ারি থেকে এ সময় বাড়বে। অর্থাৎ বিকেল পাঁচটা করা হবে। মেট্রোরেলের ১২তম স্টেশনের কিছুটা কাজ বাকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “আপাতত বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মতিঝিল থেকে শেষ ট্রিপ উত্তরা যাচ্ছে। তবে যাত্রীদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলে কিছু সময় বাড়ানো হয়। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় বাড়লে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে।”