• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

বিকেলে ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৯:৩১ এএম
বিকেলে ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় আসছেন। তিনি সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার আগে লাভরভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়েছে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে গত ৫২ বছরে মস্কোর কোনো প্রতিনিধি ঢাকা সফর করেননি। বাংলাদেশে রাশিয়ার প্রথম কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সামগ্রিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতা আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। 

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, দুই দেশের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যু। নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনাসহ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ রাশিয়াকে অনুরোধ জানাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা থেকে সরাসরি দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে যাবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত বছর নভেম্বরে ঢাকা সফরের কথা উঠলেও শেষ মুহূর্তে আসতে পারেননি লাভরভ।

এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর নিয়ে সরগরম বাংলাদেশের কূটনীতির অঙ্গন। দুটি সফরই ঢাকার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রায় ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন।

সের্গেই লাভরভের সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। সম্প্রতি বিশ্বে যেসব জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেন সংকটের পর থেকে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা রাশিয়াকে একটা অনুরোধ করতে পারি, দ্রুত যেন একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করা যায়।”

পররাষ্ট্রসচিব জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সক্রিয় সমর্থন, খাদ্য, সার ও জ্বালানির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

Link copied!