বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের নির্বাচনেই সহিংসতা হয়। এটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ থেকে বের হয়ে আসার কথা সবাই বলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেই। নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ওয়াইডাব্লিউসিএর সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনী সহিংসতা বা ইলেকটোরাল ভায়োলেন্স শূন্যের কোঠায় আনতে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এই সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওরর্স পার্টনার ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা)। এতে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই)।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “বাস্তব জীবনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অসহিষ্ণু আচরণ, ঘৃণাবাচক বক্তব্য এবং অপতথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। এজন্য যথাযথ ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখানো ও সহিংসতা রোধে ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।”
পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপনা শেখাতে শিক্ষাক্রমে নাগরিকত্ব শিক্ষা ও গণমাধ্যম সাক্ষরতা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও উঠে আসে আলোচনায়।
বক্তারাদের মতে, জনগণের জন্য এবং জনগণের মঙ্গলে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের একেক জনের সঙ্গে অন্যজনের মতামত অনৈক্য থাকবে। সবাইকে উগ্রবাদি মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারলেই নির্বাচনী সহিংসতা এড়ানো সম্ভব। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উচিত, সব ধর্মীয় নেতাদের গুজব রোধে ট্রেনিং ব্যবস্থা করার।