নওগাঁর চৌবাড়িয়া হাটে বেড়েছে সব ধরনের ধানের সরবরাহ। তবে কৃষকদের অভিযোগ, বাড়তি যোগানের সুযোগে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা মণ প্রতি ১০০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন সুগন্ধি জাতের ধানের দাম।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোরে চৌবাড়িয়া হাটে ধান নিয়ে আসেন চাষিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে কৃষক আর পাইকারের দরকষাকষিতে জমজমাট হয়ে ওঠে এ ধানের হাট। গত সপ্তাহ থেকে এ হাটে মণ প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত কম দামে ধান কিনছেন মিলাররা। মোটা ধানের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও সুগন্ধি জাতের ধানের দাম পতনে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দুষছেন চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, গত হাট থেকে চলতি সপ্তাহে ধানের দাম ১০০ থেকে দেড়শ টাকা কম। তবে মোটা ধান স্বর্ণা-৫ মণপ্রতি বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। বাজারে স্বর্ণা-৫ ধান ১ হাজার ২০০ টাকা ও নাজিরশাইল মণপ্রতি ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সুগন্ধি আতপ মণপ্রতি ২ হাজার ৮৫০ টাকা ও ব্রি-ধান উনপঞ্চাশ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩২০ টাকায়।
এদিকে সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার এ হাটে ৩ থেকে ৪ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হয়। তবে সরকারের নজরদারি না থাকায় বাজার ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে। এছাড়া দাম কমার নানা অজুহাত দেখান ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফুরাদ চৌকদার বলেন, মোটা ধানের দাম বাড়তির দিকে। গত সপ্তাহে দাম ১ হাজার ৭০ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা থাকলেও এখন ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় ধানের আমদানি কম।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গত আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি জাতের ধানের আবাদ হয়, যা থেকে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের ঘরে ওঠে।