• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আমীর খসরুর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৩, ০২:৩৬ পিএম
আমীর খসরুর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) অবরোধে সহিংসতা, নাশকতা ও পুলিশ হত্যার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার বিষয়ে ডিবি অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ হারুন জানান, পুলিশ হত্যা ও সহিংসতায় ইন্ধনদাতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরমধ্যে আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডিবির গুলশান জোন রাজধানীর গুলশান ২ এর ৮১ নাম্বার রোডের ৮/এইচ এর বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গোপন খবরের ভিত্তিতে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের জন্য গুলশানের ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ঘিরে ফেলে ডিবির পুলিশের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। 
গত ২৮ অক্টোবরের নাশকতা মামলায় আমীর খসরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়।

এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে আসামি করা হয়।

এরপর থেকে দলটির প্রায় সব নেতাই আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরপর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের উভয়কে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

Link copied!