বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৫ কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মানদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই চক্রের সদস্যরা রোগী সেজে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেতেন। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে দেশে ফিরে আসতেন। প্রতিমাসে তারা অন্তত ৪/৫ বার এভাবে যাতায়াত করতেন।
এই চক্রের মূল হোতা সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ কে এম আবু সাইদ, আশীক সাইফ ও মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আনা লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ‘খ শ্রেণির’ নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অধিদপ্তরের মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, “মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, একটি চক্র পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চক্রের মূলহোতা সোলাইমান প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ বার ভারতের কলকাতায় যাতায়াত করতেন। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। এ কাজে তার একাধিক সহযোগিকে ব্যবহার করা হতো। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়।”
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, “চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রোগীর চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যেত। এরপর কয়েকদিন অবস্থান শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে আসত।
যেভাবে গ্রেপ্তার:
জানা যায়, চক্রের সদস্যরা ভারতে গিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করত। এরপর বিমানে করে দেশে আসত। তারা বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়। চক্রের সদস্যরা অ্যারাইভাল এন্ট্রি গেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সবার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ২০০ পিস মাদক উদ্ধার করা হয়।