• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পাহাড়ে তিন ভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো জঙ্গিদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৩:০০ পিএম
পাহাড়ে তিন ভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো জঙ্গিদের

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সদস্যরা বান্দরবান পাহাড়ি এলাকায় যে ক্যাম্প গড়ে তুলেছিল, তাতে তিন ভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। প্রথম ভাগে পাহাড়ের ক্যাম্পে শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। দ্বিতীয় ভাগে যুদ্ধ কৌশল যেখানে ডামি অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তৃতীয় ধাপে পেট্রোলিং শেখানো হতো। এ ছাড়া ক্যাম্প থেকে কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের হাত, পা, চোখ বেঁধে বন্দি করে রাখা হতো।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সিটি ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন আব্দুল্লাহ (২২), তাজুল ইসলাম (৩৩), জিয়াউদ্দিন (৩৭), হাবিবুল্লাহ (১৯) ও মাহামুদুল হাসান (১৮)।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এর আগে গ্রেপ্তার ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী এই সম্মিলিত জঙ্গি সংগঠনের দাওয়া বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় এই মতাদর্শে জড়িয়ে পড়েন। পরে শাকির এই সংগঠনের সদস্যদের নিয়মিত চিকিৎসাও দিয়ে আসছিলেন।”

সিটিটিসি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তাররা সবাই নব্য উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া’র সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তার হাবিবুল্লাহ ও মাহামুদুল হাসান ওই সংগঠনের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জিহাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন।

মো. আসাদুজ্জামান জানান, আবদুল্লাহ, তাজুল ইসলাম ও জিয়াউদ্দিন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে আসা নতুন সদস্যদের সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করতেন। পরে তাদের ট্রেনিংয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতো।

সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে সাত তরুণ নিখোঁজ হওয়ার পর দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে সিটিটিসি ছায়া তদন্ত শুরু করে। কুমিল্লা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবরারুল হককে শনাক্ত করে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশব্যাপী সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। পরে রামপুরার হাজীপাড়া এলাকা থেকে ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Link copied!