প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আস্থা বিশ্বাস রাখবেন। টানা ক্ষমতায় আছি বলে সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে পেরেছি। দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।”
বুধবার (৯ আগস্ট) গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “একটাই লক্ষ্য, একজন মানুষও ভূমিহীন ও অবহেলিত থাকবে না। এ দেশের মানুষ ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাওয়াই জীবনের বড় পাওয়া।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, যাতে একজন মানুষও অযত্নে, অবহেলায় না থাকে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এই যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ধাক্কা সামলাতে সীমিত আয়ের মানুষের সুবিধার জন্য এক কোটি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোনো মানুষ যাতে দ্রব্যমূল্যের জন্য কষ্ট না পায়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন না, তারপরও জন্মদিন হিসেবে কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করতো। যেদিন আমাদের চোখের পানি পড়ে, মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে সেদিন সে উৎসব করতো। শুধুমাত্র আমাদের আঘাত দেওয়ার জন্য এটা করতো।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “১৫ আগস্ট আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের আরেক মীরজাফর খুনি মোস্তাককে দিয়েই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি এরশাদও জিয়ার পথ ধরে ক্ষমতা দখল করেছিল।”