• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন থেকে ঋণ নেবে সরকার’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন থেকে ঋণ নেবে সরকার’
জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার চীন থেকে ঋণ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,“সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১তম সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকারের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তার সমীক্ষা সম্পন্ন করে পিডিপিপি-এর বিষয়ে চীন সরকারের মূল্যায়ন প্রতিবেদন ২০২৩ সালের ৫ মার্চ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বড় আকারের ভূমি উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং নৌ-চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণ না থাকা এবং বড় আকারের বিনিয়োগের বিষয়গুলো উল্লেখ করা আছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “চীন সরকার প্রকল্পটি পর্যায়ভিত্তিক বাস্তবায়নের জন্য আরও বিশদ সমীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে। ‘পাওয়ার চায়না’ কর্তৃপক্ষ চীন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৭ আগস্ট সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা প্রতিবেদন সংশোধনের প্রস্তাব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রেরণ করেছে। এ প্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ৫২ জনকে আসামি করে দুটো অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে ৩ জন আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।”

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের অধিক বজ্রপাত প্রবণ ১৫টি জেলায় বজ্রপাতের ফলে সৃষ্ট প্রাণহানি রোধে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার ৭৯৩টি বজ্রনিরোধক দণ্ড বা বজ্র নিরোধক ছাউনি স্থাপন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।”

Link copied!