• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
‘সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে’

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারার কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, “সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ। এ কারণে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজারের আগুনে দেশের মানুষ পুড়ছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ মানুষের জীবনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ বলেছেন নেতিবাচক প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। এ বছর মার্চে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম পরিচালিত দেশব্যাপী জরিপে জানা গেছে, গত ছয় মাসে শহরে দরিদ্রদের খাদ্য কেনার ব্যয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আর গ্রামাঞ্চলে এই ব্যয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তাই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছে।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “সাধারণ মানুষ মাছ, মাংস বা আমিষজাতীয় খাদ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এতে পুষ্টিহীনতায় জাতির শারীরিক সক্ষমতা হারাতে পারে। মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। জরিপের ফল অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা ধারদেনায় জর্জরিত হচ্ছে আর ৩৫ শতাংশ মানুষ ভেঙেছেন সঞ্চয়।”  

মন্ত্রীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “মন্ত্রীরা যখন বলেন বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা যায় না, তখন জাতির জীবনে হতাশা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। সাধারণ মানুষের ধারণা, সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা, জবাবদিহির অভাব আর দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।”

জি এম কাদের আরও বলেন, “দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে, সরকার কীভাবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে।”

Link copied!