আলোচিত ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক উপকমিটি থেকে সদ্য বাদ পড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশান থানা থেকে হেলেনাকে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের কাছে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে উল্লেখ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলেনার বাসায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া জব্দ করেছে র্যাব। অভিযান শেষে এ তথ্য জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপস) কর্নেল কে এম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া গেছে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের একটি দল হেলেনা জাহাঙ্গীরের রাজধানীর গুলশান-২-এর ৩৬ নম্বর সড়কে বাসায় অভিযান শুরু করে। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান পরিচালনার পর হেলেনাকে আটক করা হয়।
হেলেনা নানা সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচনায় এসেছেন। এই নারী কর্মী ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হয়ে ফের আলোচনায় আসেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ হারান তিনি।
শনিবার (২৪ জুলাই) সংগঠন থেকে তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই সংগঠনের সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, “হেলেনা জাহাঙ্গীর বারবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তার সদস্য পদ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি প্রস্তুত করতে বলেছি দপ্তর সম্পাদককে।”
জানা যায়, হেলেনা জাহাঙ্গীর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ বাগিয়ে নেন। সম্প্রতি ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।