নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “আগামীকাল বুধবার থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করবে।”
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সভায় শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “একই সঙ্গে লঞ্চের বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই নতুন করে লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে না।”
এরআগে রোববার (৮ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, এবার আসন পূর্ণ করেই সব ট্রেন চলাচল করবে। অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে এবং বাকিটা কাউন্টার থেকে কিনতে পারবেন যাত্রীরা। যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেবে রেলওয়ে। আগামীকাল বুধবার থেকে আন্তনগর ও মেইল মিলিয়ে ৫৭ জোড়া ট্রেন চালানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আন্তনগর ৩৮ জোড়া এবং মেইল ও কমিউটার ট্রেন ১৯ জোড়া।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলযাত্রীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সবার মাস্ক পরা রেলে চলাচল করে তার ওপর জোর দেওয়া হবে।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দেশের অর্থনৈতিক সচল রাখতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধিনিষেধ শিথিল হবে ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে। এদিন থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।
এর আগে আজ দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, “১০ আগস্টের পর সব কিছু ধাপে ধাপে খুলবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে সোমবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।”
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। ১১ আগস্ট থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল, সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে চলবে গণপরিবহনও।
করোনা নিয়ন্ত্রণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু তারপরও করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
ঈদের সময় আট দিনের জন্য শিথিলতা এনে আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যা ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে।