• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কপালে ব্রণের সমাধান যা করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:৪১ পিএম
কপালে ব্রণের সমাধান যা করবেন

বয়ঃসন্ধিকালীন সময় বা তার পরবর্তী সময়ে সাধারণত ব্রণের সমস্যায় বেশি আমরা বেশি ভুগে থাকি। তবে সময় ব্রণের সময়সীমার কোনো নির্দিষ্টতা থাকে না। যেকোনো সময় যেকোনো কারণে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকেই আছেন যাদের মুখের তুলনায় কপালেই ব্রণের মাত্রা বেশি। বিশেষজ্ঞরা এর নানা কারণ উল্লেখ করছেন। তারমধ্যে ত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল ও ব্যবহৃত প্রসাধনীর অংশ বিশেষই প্রধান কারণ। এছাড়া মানসিক চাপ, হরমোনের সমস্যা, বয়ঃসন্ধীর সময় কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও কপালে ব্রণ হতে পারে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কপালে সৃষ্ট ব্রণের সহজ সমাধান-

মুখ পরিষ্কার রাখা

মুখ পরিষ্কার রাখার কোনো বিকল্প নেই। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে করতে ভালো মানের আপনার ত্বকের উপযোগী ফেইস ওয়াশ নির্বাচন করুন। এতে ত্বকের ময়লা, তেল ও অন্যান্য প্রসাধনী দূর করতে সহায়তা করে।

নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

মুখ পরিষ্কার করার পরে ত্বকে আলতোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। লোমকূপ আবদ্ধ হওয়া এড়াতে তেল বিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উপকারী।

ত্বক পরিচর্যার ধাপ নিয়মিত মেনে চলা

ত্বকের ধরন বুঝে ফেইস ওয়াশ, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ও সিরাম এবং এসেনশল তেল ব্যবহার করতে হবে। এই ধাপগুলো ত্বকের ময়লা, ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে ও ব্রণ এবং দাগ ছোপ কমাতে সহায়তা করে।

লেবুর রসের ব্যবহার
ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস ব্রণের উপরে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া জনিত ব্রণ সমস্যার সমাধান করবে, এছাড়াও লেবু তৈলাক্ততা দূর করতে কার্যকরী বলে তৈলাক্ত মাথার ত্বকের কারণে ব্রণ হওয়ার সমস্যা সমাধান করবে। তবে আপনার ত্বক লেবুর কারণে অ্যালার্জি প্রবণ হয় তাহলে ব্যবহার না করাই ভালো।

সরিষা গুঁড়ো ও মধুর ব্যবহার
সরিষাগুঁড়োতে রয়েছে স্যালিসাইলিক এসিড যা খবুই কার্যকরী ব্রণ সমস্যা সমাধানে। কিছু সরিষা দানা নিয়ে গুঁড়ো করে এতে মধু ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ব্রণের উপরে। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন এবং ঘুমুতে চলে যান। সকালে ব্রণের ফোলাভাব অনেকটা কমতে দেখবেন।

টমেটোর ব্যবহার
কপালের ব্রণ সমস্যা সমাধানে টমেটোও অনেক কার্যকরী।  একটি টমেটো কেটে স্লাইস করে নিয়ে, একটি স্লাইস দিয়ে ব্রণের উপরটা ঘষে নিন। এভাবে দিনে দুবার ব্যবহার করুন। দেখবেন কপালের ব্রণের ঝামেলাটা কিছুদিনের মধ্যেই মিলিয়ে যাবে।

ওষুধ ব্যবহার

ব্রণরোধী উপাদান যেমন- স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, রেটিনল, বেনজয়েল পারঅক্সাইড বা রেসরসিনল সমৃদ্ধ অয়েনমেন্ট বা মলম ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে খুব বেশি ব্রণের সম থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়। তবে ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে অ্যালোভেরার জেল, গ্রিন টির ব্যাগ ও টি ট্রি তেল বেশ কার্যকর।

খাদ্যাভ্যাস

মুখে ব্রণ হওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্য সম্পর্ক রয়েছে। কিছু খাবার যেমন- দুধের তৈরি খাবার, কার্বোহাইড্রেইট, কড়া ভাজা খাবার, মোড়কজাত খাবার, পরিশোধিত শস্য ও চিনি এবং তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

অধিকাংশ মানুষেরই ব্রণের সমস্যা সাময়িক এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ভালো হয়ে যায়। তবে যদি ব্রণের মাত্রা গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

সূত্র: বিডিনিউজ

Link copied!