গ্রীষ্মকাল আসতে আরও কিছু সময় বাকি। তবুও আবহাওয়াই গরমের বার্তা পৌছে দিয়েছে ঘরে ঘরে। ফাল্গুনের বাতাস থাকলেও তাতে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের তীব্রতা যত বাড়ছে ততই যেন নাজেহাল হচ্ছে জীবনযাত্রা। গরমে কুল, মানে ঠাণ্ডা থাকতে তাই নিজেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সুস্থ থাকতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকা প্রয়োজন।
গরমকালে মানুষের শরীর পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা না থাকলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীর ঠাণ্ডা রাখুন কিছু উপায়ে।
খাদ্যাভাস যেমন হবে
গরমে ঠাণ্ডা থাকতে খাদ্যাভাসে খেয়াল রাখুন। সারাদিনের খাবারের সময়টা ঠিক করে নিন। কখন কোন খাবারটি খাবেন তা নিয়ে সচেতন হোন। এমন খাবার খাবেন যা হজম হবে সহজে। এতে শরীরে অস্থিরতা কমবে। গরম কম লাগবে। মৌসুমী ফল বেশি করে খাবেন। মশলা ও ভাজা খাবার কম খাবেন। এতে শরীরে গরম ভাব বেশি হবে্।
পানি খাবেন ঘড়ি ধরে
গরমে ঠাণ্ডা থাকার ভালো উপায় এটি। বেশি করে পানি পান করবেন। পানি পানে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। শরীর ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। পানির ঘাটতি হলেই গরম বেশি লাগে। তাছাড়া তরলজাতীয় খাবার, জুস বেশি করে খাওয়া ভালো। গরমের ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ঘরের পরিবেশ
ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে প্রয়োজন যথেষ্ট আলো, বাতাস। ঘরের জানালা খুলে রাখুন। ফার্নিচার এমনভাবে সেট করুন যেন বাতাস না আটকে দেয়। চেষ্টা করবেন, শোবার ঘর যেন পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা থাকে। এয়ার কন্ডিশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে সারাক্ষণ ছেড়ে রাখার প্রয়োজন নেই। ঘরের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা হলেই বন্ধ করে দিতে পারেন।
অপ্রয়োজনে বের হবেন না
একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে ঘরের বাইরে যাবেন না। প্রচণ্ড গরমে অনেকের হিট স্ট্রোক হতে পারে। বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। রোদের দাড়িয়ে বেশিক্ষণ কোনো কাজ করবেন না।
ছাতা ব্যবহার করুন
বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। শুধু বৃষ্টি থেকেই নয়, ছাতা রোদ থেকেও বাঁচাবে। শরীরকে অতিরিক্ত গরম হতে দিবে না। তাই শরীর ঠাণ্ডা রাখতে বাড়ির বাইরে ভালো মানের ছাতা ব্যবহার করুন।
নিয়মিত গোসল
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে নিয়মিত গোসল করুন। সকালে এবং ঘুমের আগে দুই বারই গোসল করতে পারেন। এতে ঘুমও ভালো হবে।