এক গাল দাড়ি যেন পুরুষের সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বলা যায়, দাড়িতে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। তাইতো ২০২৪ সালে দাড়িয়েও পুরুষদের ফ্যাশনে ইন ‘বিয়ার্ড লুক’। নতুন প্রজন্মের অসংখ্য পুরুষ এখন গাল ভরা দাড়ি পছন্দ করেন। তবে শুধু দাড়ি রাখলেই তো চলবে না, পাশাপাশি যত্নও নিতে হবে। শীতের সময় দাড়ির বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো দাড়ির নীচের ত্বক রুক্ষ্ম হতে পারে, ব়্যাশ হতে পারে। তাই এই সময় দাড়ির যত্ন নিতে হবে।
শীতের মৌসুমে ৪টি নিয়ম মানলেই দাড়ির যত্ন করা যাবে। যেমন_
গরম পানি দিয়ে মুখ না ধোঁয়া
শীতে নিয়মিত গরম পানি ব্যবহার করা হয়। এমনকি মুখ ধোঁয়ার সময়ও গরম পানি ব্যবহার করেন অনেকে। যারা দাড়ি রাখতে পছন্দ করেন তারা এই ভুল করবেন না। কারণ, গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক তেল বা ময়েশ্চারাইজ়ার গ্রহণ করতে পারে না। যার ফলে ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। দাড়ি ঝরতে শুরু করে। তাই এই সময় খুব গরম পানিতে মুখ ধোবেন না। বরং ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে দাড়ি ভালো থাকবে।
ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এতে ত্বক ফেটে যেতে পারে। দাড়ি চুলকাতে পারে। সেই সঙ্গে ব়্যাশও বের হয়। এই সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে ময়েশ্চারাইজার। প্রতিদিন ভালো মানের ময়েশ্চারাইজ়ার মাখুন। ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। দাড়ির নীচের ত্বকও ভালো থাকবে।
বিয়ার্ড অয়েল মাখুন
শীতে প্রতিদিন গোসল করুন। গোসলের পর বিয়ার্ড অয়েল মাখুন। হাতে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে দাড়িতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। দাড়ির গ্রোথ ঠিকঠাক হবে। সেই সঙ্গে চুলকানি, ব়্যাশ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। প্রথম কোনও বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন। প্রথম ২-৩ দিন দাড়িতে এক ফোঁটা এই তেল লাগান। কোনও সমস্যা না হলে, তা নিয়মিত ব্যবহার করুন।
হাতে ধরবেন না, ব্রাশ করুন
দাড়ি ভালো রাখতে নিয়মিত ব্রাশ করুন। এতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে। দাড়ি সঠিকভাবে পুষ্টি পাবে। নতুন দাড়িও গজাবে। অনেকেরই অভ্যাস বারবার দাড়িতে হাত দেন। এতে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দিনে একবারের বেশি দাঁড়িতে হাত বুলাবন না। নয়তো দাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।








































